World Athletics Championships: একজন ছিলেন ফুটবলার, ১ জন TTE, চোট ছিল ৩ জনের- ভারতের রিলে টিম লড়াইয়ের প্রতীক!


শনিবার রাতে বুদাপেস্টে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে রেকর্ড তৈরি করে ভারত। ট্র্যাকে ২ মিনিট এবং ৫৯.০৫ সেকেন্ড দৌড়ের পরে মহম্মদ আনাস, আমোজ জ্যাকব, মহম্মদ আজমল ভারিয়াথোডি এবং রাজেশ রমেশ ৪০০x৪ মিটার রিলে রেসের ফাইনালে দলীয়ভাবে পৌঁছে গেল ভারত। রিলের এই স্কোয়াড শুধু এশিয়ান রেকর্ডই ভাঙেনি বরং প্রথম ভারতীয় দল হিসেবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছে। তাদেরকে আমেরিকার বিরুদ্ধে কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়তে হয়। তবুও তারা হার না মানা মনোভাবে আজ ফাইনালে তারা। ধারাভাষ্যকাররাও এই অপ্রত্যাশিত ফলে বেশ উত্তেজিত হয়ে পড়েন।

একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে এই দৌড় শুরু হবার পর রমেশ চূড়ান্ত পর্বে আমেরিকান জাস্টিন রবিনসনকে পেছনে ফেলেছিলেন। এই ভাইরাল ভিডিয়োটি ভারতীয় ক্রীড়ার আইকনিক মুহুর্তের তালিকায় নিজের জায়গা করে নিয়েছে। ফাইনালে তারা পদক জিতুক বা না জিতুক প্রত্যেক ভারতীয় ক্রিড়াপ্রেমীদের মনে তা জায়গা করে নিয়েছে। আনাস নতুন রেকর্ড তৈরি করার পর সাংবাদিকদের বলেন, ‘২০১৬ সাল থেকে আমরা ভাবছি ২:৫৯ মিনিটে দৌড় শেষ করব। প্রতিবারই আমরা এটা আশা করছিলাম যে হয়ে যাবে। কিন্তু হয়নি। অবশেষ এটা আজ হয়েছে।’

তিনি তাদের স্ট্রাটেজি সাংবাদিকদের সঙ্গে ভাগ করে নেন। আনাস বলেন, ‘আমি মার্কিন প্লেয়ারটির দিকে মনোনিবেশ করছিলাম। আমাকে তাদের সঙ্গে থাকতে হয়েছিল। আমাদের কোচ বলেছিলেন যে সবার আগে, আমাকে জাস্টিনের পিছনে থাকতে হবে।’ এই দল সাফল্য পেলেও এর আগে কমনওয়েলথ গেমসে কোনও পদক পায়নি। তারা গত বছরের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ফাইনালের জন্য যোগ্যতাও অর্জন করেতেও পারেনি। সাম্প্রতিককালে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপেও তারা সোনা জিততে পারেনি। কিন্তু তারা বুদাপেস্টে বিশ্ব মঞ্চে ভারতীয় রিলে দলের জন্য সবচেয়ে বড় সাফল্য নিয়ে এল।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত ছাড়া ফাইনালে ওঠা বাকি দলগুলি হল ব্রিটেন, বৎসোয়ানা, জামাইকা, ফ্রান্স, ইতালি এবং নেদারল্যান্ডস। দ্বিতীয় হিটে উসেইন বোল্টের দেশ জামাইকা শেষ করেছে ২:৫৯:৮২ সেকেন্ডে। ফ্রান্সের সময় লেগেছে ৩:০০:০৫ সেকেন্ড এবং ইতালির ৩:০০:১৪ সেকেন্ড। বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপের মঞ্চ থেকে এর আগে দুটি পদক জিতেছে ভারত। লং জাম্পে অঞ্জু ববি জর্জের ব্রোঞ্জ এবং জ্যাভলিনে নীরজ চোপড়ার রুপো জিতেছিলেন। মহম্মদ আনাসরা ইতিমধ্যেই স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছেন।

পাশাপাশি আনাস বলেন, ‘করোনার পর অলিম্পিক্সে আমি চোটের কবলে পড়ি। সেই পরিস্থিতি আমি কাটিয়ে উঠেছি এবং এখন আগের ফর্মে ফিরে গিয়েছি।’ জ্যাকবের বাবা পিএ জ্যাকব বলেন, ‘টুর্নামেন্টে নামার আগে থেকেই ও ঘাব্রে ছিল। তবে ও অনেক পরিশ্রম করেছে। অনেক কঠিন সময় কাটিয়েছে। তবে এটা ঠিক বর্তমানে খুব ভালো দল পেয়েছে। আমি খুবই আনন্দিত ও যেভাবে এগিয়ে চলেছে।’ পাশাপাশি রমেশ ত্রিচি রেলওয়ে স্টেশনে টিকিট সংগ্রাহক হিসাবে পুরো সময় কাজ করেছিলেন

জাতীয় দলের কোচ প্রেমানন্দ জয়কুমার বলেন, ‘আমরা পরিকল্পানা মাফিক নেমেছিলাম। আমাদের টার্গেট ছিল আমেরিকানকে কোনও ভাবেই সুযোগ দেওযা যাবে না। আমরা সেটা করতে পেরেছি। ছেলেরা খুব ভালো পারফরম্যান্স করেছে। আগামীর লড়াই আরও কঠিন হবে। ফলে আমাদের আরও সতর্ক থাকতে হবে।’



Source link

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*