EB vs MB: নিয়মটা উনি আগে পড়ে দেখুন- কুয়াদ্রাতকে সপাটে জবাব ফেরান্দোর – EB vs MB: We are not stupid that we didn’t break any rules


গ্রুপ লিগের ডার্বি জিতে মাথা নীচু করে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল। কোনও দিনই খুব বেশি বহিঃপ্রকাশ নেই জুয়ান ফেরান্দোর। সেই দিনও এতটুকু হতাশা প্রকাশ করেননি। তবে তাঁর কথাগুলিকে সেই মুহূর্তে অজুহাত মনে হয়েছিল। কিন্তু এর জবাবটা খুব তাড়াতাড়িই দিলেন ফেরান্দো।

এদিন মোহনবাগানের খেলা দেখে পরিষ্কার বোঝা গিয়েছে, কতটা হোমওয়ার্ক করে তিনি এদিন স্ট্র্যাটেজি সাজিয়েছেন। গ্রুপ লিগের ম্যাচে যে ভুলটা করেছিলেন, সেটা আর এবার করেননি। ইস্টবেঙ্গলের খেলার প্রতিটা মুভমেন্ট তিনি ভালো ভাবে দেখেছেন এবং সেই ভাবে স্ট্র্যাটেজি সাজিয়েছেন। দুই স্প্যানিশ কোচের মগজাস্ত্রের লড়াইয়ে রবিবাসরীয় যুবভারতীতে কুয়াদ্রাতকে টেক্কা দিয়ে গিয়েছেন ফেরান্দো।

সাংবাদিক সম্মেলনে এলে প্রথমেই ফেরান্দোকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এই ডার্বি জয়টা কি মোহনবাগানের কোচ হিসাবে সেরা? কোনও বিতর্কে না গিয়ে স্প্যানিশ কোচের সাফ জবাব, ‘এটা বলা যাবে না। কারণ গোটা প্রতিযোগিতাতেই অনেক কঠিন দলের বিরুদ্ধে খেলেছি আমরা। মুম্বই সিটি, এফসি গোয়া, ইস্টবেঙ্গল- কারও বিরুদ্ধেই জেতা সহজ হয়নি। নিজেদের বার বার কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়তে হয়েছে। তবে আগেও বলেছি এটা প্রাক মরসুম প্রস্তুতি। খেলোয়াড়েরা চাপের মুখে নিজেদের সেরাটা দিয়েছে। এখনও উন্নতির অনেক জায়গা রয়েছে।’

আরও পড়ুন: ম্যাচ হেরেও বাগানকে খোঁচা, তবে মানের তফাতের কথা স্বীকার করে নিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ

যদিও অনিরুদ্ধ থাপাকে লালকার্ড দেখানোর পরেই তেতে গিয়েছিল মোহনবাগান। তার পরেই হয় ম্যাচের একাম্ত্র গোলটি। তবে ফেরান্দোর মতে, লালকার্ড ক্ষেত্রে রেফারি একটু কড়া মনোভাবই নিয়েছেন। তাঁর দাবি, ‘মানছি অনিরুদ্ধ দ্বিতীয়ার্ধে একটু ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিল। তাই সিভেরিয়ো ও ভাবে বলটা পাওয়ায় নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি। কিন্তু রেফারি সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এক বার ভেবে দেখলে পারতেন। তবে অনিরুদ্ধকে এখনও উন্নতি করতে হবে। আমার বিশ্বাস খুব দ্রুত ও সেটা করে ফেলবে।’

দ্বিতীয়ার্ধে জেসন কামিন্সকে নামানোর পরেই গোল হয়। গোলের পাসটিও বাড়ান অজি তারকা। তবে জেসন কামিন্সকে প্রথম একাদশে না রাখা নিয়ে ফেরান্দো বলেছেন, ‘এই সিদ্ধান্ত পুরোপুরি কৌশলগত। ও টানা কয়েকটা ম্যাচে ৯০ মিনিট খেলেছে। তাই ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে সবাইকেই খেলাতে হত। আমি মনবীর, লিস্টনকেও আরও পরে নামাব ভেবে রেখেছিলাম। কিন্তু অনিরুদ্ধ লালকার্ড দেখার পর পরিকল্পনা বদলাতে হল।’

আরও পড়ুন: কেন গোলের পর ছুটে গিয়েছিলেন গ্যালারির দিকে, আবেগের বোমা ফাটিয়ে উত্তর দিমির

দশ জনে হয়ে যাওয়ার পরে ডার্বির মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জয়। ফেরান্দো অবশ্য বলছেন, ‘দলকে একটা কথা সব সময়েই বলি, কঠিন সময়েই নিজেদের সেরাটা বের করে আনতে হবে। রোজ বলার কারণে এ রকম মুহূর্তে কী করতে হবে সেটা ওরা বুঝে গিয়েছে। তাই আমার কাজ ছিল স্রেফ কৌশলের ব্যাপারটা ঠিক রাখা। বাকিটা ফুটবলারেরাই জানত যে কাকে কী করতে হবে। ও রকম পরিস্থিতিতে থেকেও ম্যাচ বের করার জন্য গোটা কৃতিত্ব দলের।’

চার জন বাড়তি ফুটবলার নথিবদ্ধ করা নিয়ে কার্লেস কুয়াদ্রাতের অভিযোগ শুনে অবশ্য বিরক্তই হয়েছেন জুয়ান। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘দলের অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবলারেরা চলে গিয়েছে। আমাদের হাতে আর কোনও বিকল্প ছিল না। তা ছাড়া এটা যত দূর জানি নিয়মের মধ্যেই রয়েছে। নিয়ম ভেঙে কোনও কাজ করিনি। আমার মতে, উনিও (ইস্টবেঙ্গল কোচ) নিয়মটা পড়ে দেখলে পারতেন। যদি সে রকমই কিছু হত তা হলে আয়োজকরা শাস্তি দিতে পারতেন। তারা তো সে রকম কিছু করেননি। আমার মনে হয় আলোচনাটা ফুটবলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা ভালো।’



Source link

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*