Durand Derby Final: ডার্বি শেষে হাতাহাতি দুই দলের সমর্থকদের, গুরুতর আহত একাধিক


মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ডার্বি মানেই আলাদা উত্তেজনা। দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে বাকযুদ্ধ। কেউ একে অপরকে ছেড়ে কথা বলে না। এই চিত্র নতুন কিছু নয়। যুগের পর যুগ সেই ধারাতেই তা চলে আসছে। শুধু ৯০ মিনিটের জন্য একে অপরের শত্রু, এমনটা বলা না গেলেও, মাঠের বাইরে দেখা যায় অন্য ছবি। তবে অধিকাংশটাই ঘটে দুই দলের সমর্থকদের হিংসার মাধ্যমে এবারও তা অন্যথা হয়নি। বরং এবারের ডার্বি ছিল দুই দলের সমর্থকদের কাছেই বেশ গুরুত্বপূর্ণ। যে জিতবে সেই চ্যাম্পিয়ন হবে।

পাশাপাশি এই ডুরান্ডের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের কাছে হারতে হয় বাগানকে। ফলে ডুরান্ড ফাইনাল বদলার ম্যাচ ছিল জুয়ান ফেরান্দোর কাছে। আর এই ফাইনাল ম্যাচকে ঘিরে উন্মাদনাও ছিল চরমে। এমনকী এই ম্যাচের টিকিটের হাহাকার দেখা দেয়। ডুরান্ড কমিটির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন দুই দলের সমর্থকরা। কম সংখ্যক টিকিট ছাড়াকে নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে ময়দান। যদিও যুবভারতীয় কানায় কানায় না ভাবলেও প্রত্যাশিত যে ভিড়, তা লক্ষ্য করা যায়।

সুপার সানডের এই ম্যাচে অনিরুদ্ধ থাপার লাল কার্ড দেখে মাঠ থেকে বেড়িয়ে যাওয়ায় বেশ আনন্দিত হয় লাল-হলুদ সমর্থকরা। কিন্ত তা খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। পেত্রাতোসের গোলে এগিয়ে যেতেই লাল-হলুদ সমর্থকদের গর্জন থামিয়ে দেন বাগান সমর্থকরা। যদিও আর ইস্টবেঙ্গল কামব্যাক করতে পারেনি। ফলে ম্যাচ জিতে ২৩ বছর পর ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন হয় বাগান। আর এই ম্যাচ শেষ হতে না হতেই ফাকা হয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল গ্যালারি। কিন্তু মাঠে থাকেব বাগান সমর্থকরা।

এরপরই ঘটে অপ্রীতিকর ঘটনা। যার জেরে ফের একবার কলঙ্কিত হল বাংলার ফুটবল। ম্যাচ শেষ হলেও কাঁদাপাড়ার মোরে চলল দুই দলের সমর্থকদের মধ্য বচসা। পরিস্থিতি হাতাহাতির পর্যায়েও চলে যায় বলে জানা গিয়েছে। যার মধ্যে গুরুতর আহত হয়েছেন দুই জন ইস্টবেঙ্গল সমর্থক। জানা গিয়েছেন এক জনের চোখে গুরতর আঘাত লাগায় তাঁকে স্টেডিয়ামের পাশেই এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর চোখ নষ্টও হয়ে যেতে পারে। আরও এক সমর্থককেও সেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা অভিযোগ তুলেছেন মোহনবাগানের দিকে।

পাশাপাশি বিনা টিকিটে মাঠে প্রবেশ করতে যাওয়ায় বিধাননগর পুলিশ গ্রেফতার করল ৮১ জন সমর্থককে। এই ম্যাচকে ঘিয়ে যে পরিমান উন্মাদনা ছিল, সেই তুলনায় সমর্থকরা টিকিটও পেয়েছেন অনেক কমই। ফলে মাঠে প্রবেশ করার একটা প্রবনতা দেখা দেয়। ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ভেদ করে তারা মাঠে প্রবেশ করতে পারেনি। ফলে সেখানেই তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।



Source link

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*