
‘এই মাঠেই বদলা নেব’। ম্যাচ শুরুর আগে সমর্থকদের হাতে এই পোস্টটার দেখা যাচ্ছিল। আর হলও তাই। ম্যাচের ৭১ মিনিট। অনিরুদ্ধ থাপা লাল কার্ডে মাঠের বাইরে। ১০ জনে খেলছে সবুজ মেরুন। বা পায়ের শটে বল ইস্টবেঙ্গলের গোলে জড়িয়ে দিলেন। দিমিতত্রি পেত্রাতোস। সমর্থকদের উল্লাসে গমগম করে ওঠে যুবভারতী। মরশুমের প্রথম ডার্বি হারার পর ডুরান্ড কাপের ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান।
সপ্তাহ তিনেক আগে ডুরান্ড কাপের প্রাথমিক পর্বে ইস্টবেঙ্গলের মুখোমুখি হয় মোহনবাগান। মরশুমের প্রথম ডার্বিতে হারতে হয় সবুজ মেরুনকে। পরপর আটটা ডার্বি হারার পর ম্যাচ জেতে ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগান ডুরান্ড কাপ জেতার খুশি তো রয়েছেই। সমর্থকরা আরও খুশি হচ্ছেন চির প্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে এই কাপ জেতার জন্য। ম্যাচের প্রথমার্ধ গোলশূন্য অবস্থায় শেষ হয়। দ্বিতীয় পর্বের খেলা শুরু হওয়ার পরে অনেকক্ষণ গোল হয়নি। প্রত্যেকটি ভাবতে থাকে পেনাল্টি তে গড়াবে এই টাইব্রেকারে। তবে আসল খেলা তখনও বাকি। ৬২ মিনিটের মাথায় লাল কার্ড দেখে মাঠের বাইরে যেতে হয় মোহনবাগানের অনিরুদ্ধ থাপাকে। দশ জন হয়ে পড়েন তারা।
এরপরেই যেন মোহন শিবিরে একটা ঝলকানি খেলে যায়। গোল করতে মরিয়া হয়ে ওঠেন জেসন কামিন্সরা। শেষ পর্যন্ত গোল আসে। এই জয়ের ফলে মোহনবাগান সমর্থকদের সঙ্গে সঙ্গে সমানভাবে উত্তেজিত দলের কর্তা সঞ্জীব গোয়েঙ্কাও। ম্যাচ জয়ের পর সমর্থকদের একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি পোস্ট করেছেন। সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে মোহনবাগানের টিম বাসের সামনে অসংখ্য সমর্থক রয়েছেন। তারা প্রত্যেককেই চ্যাম্পিয়ন চ্যাম্পিয়ন বলে চিৎকার করছেন। ফুটবলার রাও জয় সূচক হাত নাড়াচ্ছেন। সমর্থকদের এই উচ্ছ্বাস তারাও নিজেদের ফোনে বন্দী করে নিচ্ছেন। এইরকমই ভিডিয়ো পোস্ট করে গোয়েঙ্কা লেখেন, ‘তোমরা সমর্থকরা এই দলকে যে পরিমাণ ভালবাসা ও সমর্থন দিচ্ছ তাতে আমার মন ছুঁয়ে গিয়েছে। চলার প্রতিটি পদে তোমাদের সমর্থন আমাদের দরকার। সকলকে অনেক ধন্যবাদ।’
এই নিয়ে ১৭ বার ডুরান্ড কাপ চ্যাম্পিয়ন হল মোহনবাগান। সবচেয়ে বেশিবার জেতার রেকর্ড তাদের দখলে। তবে খুব একটা পিছিয়ে নেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলও। তারা জিতেছে ১৬বার। এই টুর্নামেন্ট জেতার পর এখন জুয়ান ফোরান্দোর পাখির চোখ এএফসি কাপ।
Leave a Reply