
ডুরান্ড কাপের ফাইনালে কি ডার্বির সাক্ষী থাকতে চলেছে কলকাতা? সেই সম্ভাবনা আরও বাড়ল। কারণ ইস্টবেঙ্গলের পরে ডুরান্ডের সেমিফাইনালে উঠে গেল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। প্রথম সেমিফাইনালে নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে খেলবে লাল-হলুদ ব্রিগেড। আর দ্বিতীয় সেমিফাইনালে সবুজ-মেরুন বাহিনীর প্রতিপক্ষ হল এফসি গোয়া। অর্থাৎ সবমিলিয়ে সেমিফাইনালে যে চারটি দল উঠেছে, সবগুলিই ইন্ডিয়ান সুপার লিগে (আইএসএল) খেলে। আর সেই দুটি সেমিফাইনালে যদি কলকাতার দুই দল জেতে, তাহলে আগামী সপ্তাহের রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ডুরান্ডের ফাইনালে হবে কলকাতা ডার্বি। মুখোমুখি হবে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান।
আর সেটা যদি হয়, তাহলে ১৯ বছর পরে ডুরান্ডের ফাইনালে মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। ২০০৪ সালে শেষবার দুই দল ডুরান্ডের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল। সেবার ২-১ গোলে জিতে ডুরান্ড কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোল করেছিলেন মাধব দাস এবং চন্দন দাস। মোহনবাগানের গোলটা এসেছিল আত্মঘাতী গোল হিসেবে (ডগলাস সিলভা)। সেই ২০০৪ সালেই শেষবার ডুরান্ড কাপ জিতেছিল লাল-হলুদ শিবির (২০০২ সালেও জিতেছিল)। আর মোহনবাগান শেষ ডুরান্ড জিতেছিল ২০০০ সালে।
আর যে ম্যাচের কারণে ডুরান্ডের ফাইনালে কলকাতার ডার্বির স্বপ্ন টিকে আছে, সেই ম্যাচে ‘জুজু’ মুম্বই সিটি এফসিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছে মোহনবাগান। এই প্রথমবার মুম্বইকে হারানোর স্বাদ পেলেন সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। রবিবার যুবভারতীতে নয় মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন জেসন কামিংস। ২৮ মিনিটে বাগান ডিফেন্সের ভুলে সমতা ফেরন দিয়াজ। তবে দু’মিনিট পরেই এগিয়ে যায় মোহনবাগান। গোল করেন মনবীর সিং। ৬৩ মিনিটে মোহনবাগানের তৃতীয় গোল করেন আনোয়ার আলি।
ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালের সূচি
১) প্রথম সেমিফাইনাল: নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড বনাম ইস্টবেঙ্গল, ২৯ অগস্ট (মঙ্গলবার), যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, কলকাতা।
২) দ্বিতীয় সেমিফাইনাল: এফসি গোয়া বনাম , ৩১ অগস্ট (বৃহস্পতিবার), যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, কলকাতা।
ডুরান্ড কাপের ফাইনালের সূচি: প্রথম সেমিফাইনালের বিজয়ী দল বনাম দ্বিতীয় সেমিফাইনালের বিজয়ী দল, ৩ সেপ্টেম্বর (রবিবার), যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, কলকাতা।
Leave a Reply