
বাংলা থেকে এশিয়ান গেমসের ব্যাক্তিগত ইভেন্টে ভারতের একমাত্র প্রতিনিধি ছিলেন প্রণতি নায়েক। বাংলা থেকে জিমন্যাস্টিক্সে তিনি একমাত্র যিনি ভারতকে পদকের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন। বৃহস্পতিবার প্রণতির জন্য গোটা বাংলা অপেক্ষা করছিল। কারণ প্রণতি নায়েককে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিল বাংলা। তবে সেই স্বপ্ন ভেঙে গিয়েছে। চলতি এশিয়ান গেমসে মেয়েদের ভল্ট ফাইনালে প্রণতি সকলকে চূড়ান্ত হতাশ করেছেন। ভল্ট ফাইনালে তিনি শেষ করেন সকলের শেষে। ২৮ বছর বয়সি প্রণতি দুটি ভল্টের পর স্কোর করেছিলেন ১২.৩৫০। এর ফলে মেয়েদের ভল্টের ফাইনাল ইভেন্টে আট নম্বরে শেষ করেছিলেন বাংলার জিমন্যাস্ট প্রণতি নায়েক।
বৃহস্পতিবার এশিয়ান গেমসে মেয়েদের ভল্ট ফাইনালে প্রথম ভল্টে প্রণতি নায়েক স্কোর করেছিলেন ১২.১০০। এরপর দ্বিতীয় ভল্টে তিনি স্কোর করেন ১২.৬০০। সার্বিকভাবে ভল্ট ফাইনালে দুটি ভল্টের পর তিনি স্কোর করেন ১২.৩৫০। প্রণতির প্রথমে সুকাহারা ৭২০ ডিগ্রি ভল্ট দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি নিখুঁত ভাবে ল্যান্ডিং করতে পারেননি। ফলে তাঁর ০.৩ পয়েন্ট কেটে নেওয়া হয়। উত্তর কোরিয়ার আন চাঙ্গোক মোট ১৪.০৯০ স্কোর নিয়ে স্বর্ণপদক জিতেছেন এবং সে দেশেরই অপর এক জিমন্যাস্ট কিম সনহিয়াং ১৩.৬০০ স্কোর করে রুপো জিতেছেন। চিনের ইউ লিনমিন ১৩.৫৩৩ স্কোর করে ব্রোঞ্জ জিতেছেন।
২৬ সেপ্টেম্বর এশিয়ান গেমসে মেয়েদের ভল্ট এবং অল-অ্যারাউন্ডের ফাইনালে পৌঁছেছিলেন প্রণতি নায়েক। এরপর থেকেই তাঁকে নিয়ে আশায় বুক বাধতে শুরু কর বাংলা তথা ভারত। অবশ্য দিন দুয়েক আগে স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয় অল-অ্যারাউন্ডের ফাইনাল থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন প্রণতি। ফলে এ বারের মতো প্রণতির এশিয়ান গেমস সফর শেষ হল।
প্রণতি নায়েক হাঙ্গেরিতে এফআইজি ওয়ার্ল্ড চ্যালেঞ্জ কাপে ব্রোঞ্জ পদক পেয়ে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এশিয়ান গেমসে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানেও আশানুরূপ ফল করতে পারলেন না বাংলার এই জিমন্যাস্ট। ভারতের জিমন্যাস্টিক্স ফেডারেশন এশিয়ান গেমসের জন্য অলিম্পিয়ান দীপা কর্মকার সহ ৯ জন জিমন্যাস্টকে বেছে নিয়েছিল। অবশ্য শেষ পর্যন্ত ক্রীড়া মন্ত্রক শুধুমাত্র প্রণতিকে হ্যাংঝাউতে যাওয়ার অনুমোদন দিয়েছিল। জিমন্যাস্টিক্সে এশিয়ান গেমসে ভারতের মাত্র একটি পদক রয়েছে। আশিস কুমার ২০১০ সালের এশিয়ান গেমসে ফ্লোর এক্সারসাইজে ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত প্রণতি তাঁর সেই রেকর্ড টাচ করতে পারলেন না।
Leave a Reply