Asian Games 2023: ভারতীয় সিনিয়র হয়ে অভিষেক বাংলার তিতাসের, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নজির গড়ে জয়


ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে সিনিয়র দলে অভিষেক করলেন বাংলার তিতাস সাধু। এশিয়ান গেমসের সেমিফাইনালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে তিতাসের হাতে ভারতের ক্যাপ তুলে দেন স্মৃতি। ভারতের সিনিয়ার দলের জার্সি গায়ে শুরুটা দারুণ হল বাংলার বোলারের। আসলে এই ম্যাচে ভারত জেতার পাশাপাশি একটি উইকেটও পেয়েছেন তিতাস। শোর্না আখতারকে শূন্য রানে সাজঘরে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এশিয়ান গেমস খেলতে চুঁচুড়া থেকে রওনা হওয়ার আগে নিজের লক্ষ্যে কথা বলেছিলেন তিতাস। তিনি বলেছিলেন, ‘এশিয়ান গেমসে সুযোগ পেয়েছি। নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। আশা করব, যেন গোল্ড মেডেল নিয়ে ফিরতে পারি।’ এবার সোনার পদকের জন্য মাঠে নামবেন তিতাসারা।

আসলে এই ম্যাচে বাংলাদেশকে আট উইকেটে হারিয়ে এশিয়ান গেমসের ফাইনালের টিকিট পাকা করেছে ভারত। টিম ইন্ডিয়ার কাছে এটা একটা অতি সহজ জয় ছিল। চিনের হ্যাংঝাউ শহরে বাংলাদেশের মহিলা ক্রিকেট দলকে নিয়ে ছেলে খেলা করল ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল। এশিয়ান গেমস ২০২৩-এর সেমিফাইনালে তারা বাংলাদেশকে মাত্র ৫১ রানে অলআউট করে দেয়। মহিলাদের ক্রিকেটে ভারতের বিরুদ্ধে এটাই তাদের সর্বনিম্ন স্কোর। টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে খেলা এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের খারাপ অবস্থার পিছনে বড় ভূমিকা ছিল অলরাউন্ডার পূজা বস্ত্রকারের। তিনি আকাই নিলেন চার উইকেট।

ভারতের অলরাউন্ডার পূজা বস্ত্রকার, যিনি একবার বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের শুরুটা নষ্ট করেছিল। তাদের ছন্দ আর ফিরে আসেননি। তার তৈরি পথ অনুসরণ করে অন্য সব বোলাররাও একটি করে উইকেট নিতে সফল হন। ভারতের পক্ষে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন পূজা বস্ত্রকার, যিনি চার ওভারে ১৭ রান দিয়ে চার উইকেট নিয়েছিলেন। ম্যাচের প্রথম বলেই নিজের প্রথম উইকেট নেন পূজা। এরপর ম্যাচের ৫ম বলে দ্বিতীয় উইকেট নেন তিনি। অর্থাৎ প্রথম ওভারেই ২ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে সমস্যায় ফেলে দেন পূজা বস্ত্রকার। আমরা আপনাকে বলি যে এই পূজা বস্ত্রকার এর আগে এশিয়ান গেমসের মূল দলে জায়গা পাননি। তিনি একজন স্ট্যান্ডবাই প্লেয়ার ছিলেন। শেষ মুহূর্তে দলে যোগ দেন পূজা। আর, এখন দেখুন তার কারণেই ভারত বাংলাদেশকে মাত্র ৫১ রানে অলআউট করতে পেরেছে।

বাংলাদেশের বাজে ব্যাটিং দেখেই অনুমান করতে পারেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা ছাড়া তার দলের আর কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। সর্বোচ্চ ১২ রান করেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা। দুই ওপেনারসহ বাংলাদেশের পাঁচ ব্যাটসম্যানের খাতা খোলা কঠিন ছিল। এ কারণেই পুরো ২০ ওভারও খেলতে পারেনি দলটি। ১৭.৫ ওভারে ৫১ রান করে পুরো বাংলাদেশ দল অলআউট হয়ে যায়। ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের করা ৫১ রান ছিল মহিলাদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বনিম্ন স্কোর।

যাইহোক, ভারতের কাছে এখন জয়ের জন্য ৫২ রানের টার্গেট ছিল, যা তারা ২ উইকেট হারিয়ে অর্জন করে। ভারতের হয়ে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ অপরাজিত ২০ রান করেন জেমিমা। যেখানে শেফালি বর্মা ১৭ রান করে আউট হন। ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের প্রথম উইকেট পড়েছিল স্মৃতি মান্ধানার। তিনি ৭ রান করে আউট হয়েছিলেন। তবে তিতাসের কাছে এটা সবে শুরু। কারণ অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ একটা ধাপ ছিল। পরের আর একটা ধাপ হল সিনিয়র দলে খেলা। সিনিয়র দলে সে খেলেছ। এবার তাকে পারফরমেন্স করে দলে জায়গা ধরে রাখতে হবে।



Source link

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*