Asian Games 2023: দল গঠন নিয়ে সমস্যায় স্টিমাচ, প্রতি ক্লাব থেকে নিতে পারবেন ২ জন ফুটবলার, আসছেন না সান্ধু


FIFA আন্তর্জাতিক ম্যাচ উইন্ডোর বাইরে এবং ইন্ডিয়ান সুপার লিগ চলাকালীন খেলোয়াড়দের দেশের জন্য ছাড়তে চায় না বহু দল। টিম গুলোর এমন অনিচ্ছার কারণে ২০২৩ সালের এশিয়ান গেমসের জন্য সমস্যায় পড়েছে ভারতীয় দল। তবে এবারে এই সমস্য়ার সমাধান বের করল ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। জানা গিয়েছে ইগর স্টিমাচ প্রতিটি ক্লাব থেকে সর্বোচ্চ দুইজন খেলোয়াড়কে বেছে নিতে পারবেন। ২০২৩ সালের এশিয়ান গেমসের জন্য জাতীয় ফুটবল কোচ একটি অনূর্ধ্ব-২৪ এর ২২ সদস্যের একটি স্কোয়াড চূড়ান্ত করেছিলেন। সেই দলে তিনজন সিনিয়র খেলোয়াড়কে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী, গুরপ্রীত সিং সান্ধু এবং সন্দেশ ঝিঙ্গান এই তিনজন সিনিয়রকে দলে নিয়েছিলেন তিনি। তবে তাদের সকলেই এই মাসের শেষের দিকে টুর্নামেন্টের জন্য উপলব্ধ হবে না।

উদাহরণস্বরূপ, বেঙ্গালুরু, সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে (এআইএফএফ) বলেছে যে সান্ধু পাওয়া যাবে না, কারণ তাদের দলের উভয় গোলরক্ষক – অমৃত গোপে এবং বিক্রম লক্ষবীর সিং আহত এবং সেই কারণেই সেপ্টেম্বরে সান্ধুকে পাওয়া অসম্ভব। কারণ আইএসএল শুরু হলে তাদের কাছে শুধু মাত্র সান্ধুই ফিট গোলরক্ষক হিসাবে থাকবেন। তাই তারা সান্ধুকে ছাড়বেন না।

এদিকে এশিয়ান গেমসের জন্য যে খেলোয়াড়দের তালিকা তৈরি হয়েছে তাতে বেঙ্গালুরুর মোট ছয়জন খেলোয়াড়ের নাম রয়েছে। ছেত্রী ও সান্ধু ছাড়াও আছেন রোশন সিং, রোহিত দানু, এন. শিবা শক্তি এবং সুরেশ সিং। একাধিক গেমের জন্য ছয়জন খেলোয়াড় অনুপস্থিত হলে চাপে পড়বে ক্লাব, যেটা কোনও ক্লাবই মেনে নিতে রাজি হবে না। তাই AIFF এখন বেঙ্গালুরুর থেকে মাত্র দুইজন খেলোয়াড়ের অর্থাৎ সুনীল ছেত্রী এবং সুরেশ সিং-এর মুক্তি চেয়েছে।

স্টিমাচের তালিকায় মুম্বই সিটি এফসির তিনজন খেলোয়াড় ছিলেন। লালেংমাওইয়া রাল্টে (অপুইয়া) আকাশ মিশ্র এবং বিক্রম প্রতাপকে বেছে নিয়েছিলেন স্টিমাচ। সূত্রের মতে, ভিন্সি ব্যারেটো (চেন্নাইয়িন), আয়ুষ ছেত্রী (এফসি গোয়া) এবং আবদুল রাবিহ (হায়দরাবাদ) তালিকায় যুক্ত হয়েছেন। মোহনবাগান ফরোয়ার্ড লিস্টন কোলাসো এখন তিন সিনিয়র খেলোয়াড়ের একজন হয়েছেন। অর্থাৎ সান্ধুর জায়গায় লিস্টন সিনিয়র হিসাবে দলে থাকবেন।

এআইএফএফ একটি চূড়ান্ত স্কোয়াড তৈরি করতে চাইছে যেখানে প্রতিটি দল থেকে মাত্র দুইজন খেলোয়াড় নেওা হবে। তবে একানেও ক্লাবগুলি প্লেয়ারদেরকে নাও ছাড়তে পারেন। তবে যদি এশিয়ান গেমসের সমাপ্তি পর আইএসএল শুরু হয় তাহলে অঙ্ক অন্য হতেই পারে। একটি ক্লাবের কর্তা জানিয়েছেন, ‘এআইএফএফ আমাদের জাতীয় স্বার্থে খেলোয়াড়দের ছেড়ে দিতে বলেছে। লিগ চলাকালীন ক্লাবগুলির মূল খেলোয়াড়দের হারানো কীভাবে ভালো? তারা তিন থেকে চারটি ম্যাচ মিস করবে। কারো শুরুটা খারাপ হলে প্রতিযোগিতামূলক মরশুমে লড়াই করাটা কঠিন হয়ে যাবে। যদি খেলার জন্য কোন গেম না থাকে, তাহলে সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।’ AIFF সেক্রেটারি জেনারেল শাজি প্রভাকরণ মঙ্গলবার সমস্ত ক্লাবকে চিঠি লিখে ফিফার উইন্ডোর বাইরে খেলোয়াড়দের মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে বিবেচনা করতে বলেছেন। দেশের সঙ্গে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছে ফেডারেশন।

প্রভাকরণ সমস্ত ক্লাবকে তার চিঠিতে বলেছেন, ‘ভারতীয় হিসাবে, আমরা দেশের জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে বাধ্য। এবং এই প্রক্রিয়ায়, আপনাকে জাতীয় স্বার্থ বিবেচনা করে খেলোয়াড়দের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সরকারের সিদ্ধান্তকে (দলকে ডেপুটি করা) ফুটবলে আমাদের প্রত্যেকের প্রশংসা করতে হবে এবং স্বীকৃতি দিতে হবে। ভারতীয় ফুটবলের স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, দেশের প্রতি আমাদের সকলের দায়িত্ব রয়েছে, দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা যাবে না এবং সরকারের সিদ্ধান্তকে সম্মান করতে হবে।’



Source link

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*