Asian Games: শুটার হতে ডাক্তারি পড়া ছেড়েছিলেন! সোনা জিতে স্বপ্ন সফল করলেন সিফ্ট কৌর সামরা


শুভব্রত মুখার্জি: চলতি এশিয়ান গেমসে প্রথম কয়েকদিনেই বেশ ভালো পারফরম্যান্স করেছে ভারত। বুধবারও তার অন্যথা হল না। এদিন ভারতের হয়ে শুটিং থেকে সোনা জিতেছেন সিফ্ট কৌর সামরা। তাঁর এই সোনা জয়ের সফর কিন্তু একেবারে রুপকথার সফর বললেও কম বলা হয়। ছিলেন ডাক্তার। সেখান থেকে একেবারে সোজা বন্দুক হাতে হয়ে গেলেন শুটার! তাও আবার মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানেই! ডাক্তারির মতন জগত, যেখানে জনসেবার পাশাপাশি রয়েছে নিশ্চিত ভবিষ্যত। রয়েছে প্রচুর টাকা রোজগারের হাতছানি। সেই সব কিছু ছেড়ে দিয়ে মাথায় ঢোকে শুটার হওয়ার স্বপ্ন। দেশকে বিশ্ব মঞ্চে সম্মানিত করার স্বপ্ন নিয়ে মার্চ মাসেই চলার পথ বদলান সিফ্ট কৌর সামরা। আর সেপ্টেম্বর মাসেই এশিয়ান গেমসে সোনা জিতে করলেন বাজিমাত।

২৩ বছর বয়সি সিফ্ট কৌর সামরা চলতি বছরের মার্চেই সিদ্ধান্ত নেন এমবিবিএস পড়া ছেড়ে দিয়ে তিনি মনোনিবেশ করবেন শুটিংয়ে। যেমন ভাবা তেমন কাজ।আর বুধবারেই একেবারেই ‘ বুলস আই’ তে হিট করলেন তিনি। মেয়েদের ৫০ মিটার ৩পি ইভেন্টে ভারতের হয়ে সোনা জিতলেন তিনি। ফরিদকোটে জিসিএস মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন পড়ুয়ার সাফল্যে বিস্মিত ভারতীয় ক্রীড়া সমর্থকরা।সোনা জয়ের পরে হাংঝাউতে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সিফ্ট কৌর সামরা জানান, ‘আমি মার্চে আমার এমবিবিএস পড়া ছেড়ে দিই। আমি বর্তমানে ব্যাচেলর অফ ফিজিক্যাল এডুকেশন এবং স্পোর্টস নিয়ে পড়াশোনা করছি অমৃতসরের জেএনডিইউতে।’

সামরা জানান তাঁর এই সাহসী সিদ্ধান্তের সময়ে তাঁর পাশে থেকেছেন তাঁর বাবা-মা দুজনেই। আর এই কারণে তিনি নিজেকে ভাগ্যবান বলেও মনে করেন। কেন ডাক্তারি পড়া ছেড়ে দিলেন তা নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি জানান, ‘আমি কেন এই সিদ্ধান্ত নিলাম তা আমি জানি না। এটা আমার বাবা-মা’র সিদ্ধান্ত। সিদ্ধান্ত আমার হাতে ছিল না। আমি এই বিষয়ে কিছুই করতে পারব না। আমি পরবর্তীতে সিভিল সার্ভিসেসের জন্যও প্রস্তুতি নিতে পারি। শুটার হওয়াটা একটা মিশ্র ভাবনার ফসল বলব। আমি নিজেকে অ্যাক্সিডেন্টাল শুটারই বলব। আমি একজন শটগান শুটার ছিলাম। আমার কাজিন আমাকে শুটিংয়ের সঙ্গে পরিচয় করায়। প্রথম রাজ্য প্রতিযোগিতায় আমি ভালো ফল করি। আমার আত্মীয়রা বলেন শুটিংয়ে আমার ভালো ফল করার সম্ভাবনা রয়েছে। আমি যেন শুটিংয়ে মনোনিবেশ করি। সৌভাগ্যবশত আমার হয়ে এটা কাজ করেছে। আর আমি এখন প্রকৃত একজন শুটার।’



Source link

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*