
এএফসি কাপের প্রিলিমিনারি পর্বে মাছিন্দ্রা এবং বাংলাদেশের আবাহনি ঢাকাকে হারিয়ে মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ ‘ডি’-তে রয়েছে জুয়ান ফেরান্দোর দল। এএফসি কাপের যোগ্যতা অর্জনের দুটি ম্যাচে খুব ভালোভাবে পারফরম্যান্স করে জিতেছে মোহনবাগান। এএফসি কাপে আইএসএল ক্লাব ছাড়াও এশিয়া মহাদেশের বেশ কয়েকটি ক্লাবের মুখোমুখি হতে হবে মোহনবাগানকে। এই ক্লাবগুলি হল ওড়িশা এফসি, মলদ্বীপের মাজিয়া, এবং বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংস। আর মূল পর্ব যে বেশ কঠিন হতে চলেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর সবুজ-মেরুন শিবির এফসি কাপের যাত্রা শুরু করবে। এই ম্যাচে ওড়িশার বিরুদ্ধে খেলবে তারা। প্রথমেই অ্যাওয়ে ম্যাচে খেলতে হবে জুয়ান ফেরান্দোর দলকে। ভুবনেশ্বরের এই দুই দল মুখোমুখি হবে। ঘরের মাঠে মোহনবাগান প্রথম ম্যাচ খেলবে ২ অক্টোবর অর্থাৎ গান্ধী জয়ন্তীর দিন। সেই ম্যাচে সবুজ মেরুনের বিপক্ষ দল হতে চলেছে মাজিয়া। এরপর ২৪ অক্টোবর ফের ঘরের মাঠে নামবে মোহনবাগান। বিপক্ষ দল বসুন্ধরা কিংস। এর পরের ম্যাচ তাদের বিরুদ্ধেই ঢাকায় খেলতে যাবে মোহনবাগান। ৭ নভেম্বর সেই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশে। ২৭ নভেম্বর নিজেদের ঘরের মাঠে ওড়িশার বিরুদ্ধে ফিরতি ম্যাচ খেলবে সবুজ-মেরুন। মাজিয়ার বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচ দিয়ে গ্রুপ পর্ব শেষ হবে ১১ ডিসেম্বর।
মোহনবাগানের কাছে এখন মূল লক্ষ্য হচ্ছে এএফসি কাপ জেতা। এইজন্য বিপুল অর্থ খরচ করে দল গঠন করতে পিছুপা হননি ক্লাব কর্তারা। মোট ৭০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে দল গঠন করতে। আর এই কথা আগে ভাগেই বুঝিয়ে দিয়েছেন কোচ জুয়ান ফেরান্দো। যার ফলে ডুরান্ডো কাপে মরশুমের প্রথম ডার্বি ম্যাচ হারার পরেও খুব একটা দুঃখিত হননি কোচ। তবে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে খুব একটা কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে না ফেরান্দোর ছেলেদের। কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে নকআউট পর্বের ম্যাচগুলোতে।
এই এলিমিনেটর রাউন্ডে এশিয়ার শক্তিশালী দলগুলি নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করবে। সেই লড়াইয়ে মোহনবাগানকে টিকে থাকতে হলে স্বাভাবিক ভাবেই তাদের সর্বোচ্চ ছন্দে খেলতে হবে। যদিও যোগ্যতা অর্জন পর্বের বাগানের খেলা দেখে মোটেই স্বস্তিতে নেই ক্লাব কর্তারা। এখনও অনেক ভুল রয়েছে। যা ভালো মতো টের পেয়েছেন কোচ ফেরান্দো। মূল পর্বে যাতে কোনও রকম সমস্যা না হয়, সেই দিকেই নজর দিতে চান তিনি।
Leave a Reply