হার দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের


ছবি: সংগৃহীত

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫ উইকেটের হার দিয়ে এশিয়া কাপের যাত্রা শুরু করলো বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে লঙ্কান বোলারদের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ে টাইগার ব্যাটাররা। একমাত্র নাজমুল হোসেন শান্ত ব্যতিত বলার মতো স্কোর আসেনি কারও ব্যাট থেকে। শান্ত’র ৮৯ রানের উপর ভর করে ১৬৪ রানের পুঁজি পায় টাইগাররা। ১৬৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সাদিরা সামারাবিক্রমা ও চারিত্রা আসালাঙ্কার জোড়া ফিফটিতে ৫ উইকেটের জয় পায় লঙ্কানরা।

ক্যান্ডির পাল্লেকেলে ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। নিজের অভিষেক ম্যাচে রানের খাতা খোলার আগেই মাহিশ থিকসেনার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে মাঠ ছাড়েন তানজিদ হাসান তামিম। এরপর উইকেটে এসে ইনিংস বড় করার চেষ্টা করলেও বেশিক্ষণ টিকেননি নাইম শেখ। ২৩ বলে মাত্র ১৬ রান করেন তিনি। পাওয়ারপ্লের ১০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৩৪ রান করে বাংলাদেশ।

অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি। ১১ বলে স্কোরবোর্ডে যোগ করেন মাত্র ৫ রান। এরপর দলের হাল ধরেন তাওহিদ হৃদয় এবং নাজমুল হোসেন শান্ত। চতুর্থ উইকেটে দুইজনে মিলে করেন ৫৯ রান। তবে ২০ রান করে হৃদয় আউট হয়ে গেলেও এক প্রান্তে লড়ে যান শান্ত। থিকসানার বলে আউট হওয়ার আগে ৭ চারের সাহায্যে ৮৯ রান করেন তিনি, স্ট্রাইক রেট ৭২.৯৫। বাংলাদেশের হয়ে মুশফিকুর রহিম, মেহেদি হাসান মিরাজ ও মেহেদী হাসান করেছেন যথাক্রমে ১৩, ৫ ও ৬ রান। শেষ পর্যন্ত ৪২.৪ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে টাইগাররা তুলতে পেরেছে ১৬৪ রান।

 শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন পেসার পাথিরানা। এজন্য খরচ করেছেন মাত্র ৩২ রান। এছাড়াও থিকসেনা ২টি এবং শানাকা, ধনাঞ্জয়া, ওয়েললাগে পান ১টি করে উইকেট।

১৬৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন পেসার তাসকিন আহমেদ। ৩ বলে ১ রান করা দিমুথ করুনারত্নেকে বোল্ড আউট করে সাজঘরে ফেরান এই পেসার। এরপর ক্রিজে আসেন কুশল মেন্ডিস। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে বোলিংয়ে এসে বাংলাদেশকে আবারও সাফল্য এনে দেন শরিফুল ইসলাম। দলীয় ১৫ রানে ১৩ বলে ১৪ রান করা পাথুম নিশাঙ্কাকে আউট করেন শরিফুল। 

নিশাঙ্কার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন সাদিরা সামারাবিক্রমা।  মেন্ডিসকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন সামারাবিক্রমা। তবে দলীয় ৪৩ রানে মেন্ডিসের উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। ২১ বলে ৫ রান করে সাকিবের বলে বোল্ড হন মেন্ডিস।

এরপর দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন সামারাবিক্রমা ও চারিথ আসালঙ্কা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে থাকেন তারা দু’জন। দারুণ ব্যাটিংয়ে ৫৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন সামারাবিক্রমা। অন্যদিকে তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন আসালাঙ্কা। দলীয় ১২১ রানে সামারাবিক্রমাকে সাজঘরে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন মেহেদি হাসান। ৭৭ বলে ৫৪ রান করে আউট হন সামাবিক্রমা। এরপর লঙ্কান শিবিরে আঘাত হানেন সাকিব। দলীয় ১২৮ রানে ক্রিজে আসা ধনাঞ্জায়া ডি সিলভাকে আউট করেন সাকিব।

এরপর ক্রিজে আসেন লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। আসালাঙ্কাকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের পথে রাখেন শানাকা। এরই মাঝে নিজের অর্ধশতক পূরণ করেন আসালাঙ্কা। শেষ পর্যন্ত ১০ ওভার হাতে রেখে দলের জয় নিশ্চিত করেন এই দুই ব্যাটার। আসালাঙ্কা ৯২ বলে ৬২ ও শানাকা ২১ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন।

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেটে নিয়েছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এছাড়াও তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম এবং শেখ মেহেদী নেন ১ টি করে উইকেট।

/আরআইএম





Source link

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*