স্পনসর নেই, টেনিস খেলা চালিয়ে যেতে গিয়ে দেউলিয়া হওয়ার পথে ভারতের এক নম্বর তারকা


শুভব্রত মুখার্জি: এই মুহূর্তে ভারতের সেরা লন টেনিস তারকা সুমিত নাগাল। আর সেই তিনিই চরম কষ্টে কাটাচ্ছেন জীবন! অবস্থা এমন যে, তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের টাকা প্রায় নিঃশেষিত হতে চলেছে। এটিপি ট্যুরে প্রতি বছর খেলতে প্রায় এক কোটি টাকার কাছাকাছি খরচ। নিজের ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের মাইনে, মহারাষ্ট্র টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের কাছ থেকে যে সাহায্য পান, সব মিলিয়ে এতদিন তা ম্যানেজ করেছেন তিনি। কিন্তু এখন পরিস্থিতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে চলেছে। তাঁর ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে এই মুহূর্তে এক লক্ষের থেকেও রয়েছে কম টাকা। মাত্র ৮০০০০ টাকা পড়ে রয়েছে তাঁর ব্যাঙ্কে। সেই টাকা নিয়ে কী ভাবে কী করবেন, তাই ভেবে পাচ্ছেন না সুমিত নাগাল। দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার অবস্থা হয়েছে তাঁর।

ক্যারিয়ারের দীর্ঘ সময় তিনি জার্মানির ন্যানসেল টেনিস অ্যাকাডেমিতে অনুশীলন করেছেন। তবে টাকার অভাবে চলতি বছরের প্রথম তিন মাস সেখানে অনুশীলন করতেই পারেননি তিনি। বন্ধু সোমদেব দেববর্মন এবং ক্রিস্টোফার মার্কুইস তাঁকে সাহায্য করেন ফিট থাকতে। জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি মাসে তাদের সাহায্যেই টেনিসটা চালিয়ে যান তিনি। এরপর তিনি জার্মানিতে থাকার খরচ খরচা সমস্ত জোগাড় করতে সমর্থ হন। আর্থিক সমস্যায় ভুগছেন দেশের প্রায় সমস্ত লন টেনিস খেলোয়াড়রাই। তবে দেশের শীর্ষ বাছাই খেলোয়াড়ের এই অবস্থা দেশের খারাপ সিস্টেমকেই সামনে তুলে ধরে।

এটিপি ট্যুরে একটা টু্র্নামেন্ট খেলতে গেলে মূল খরচ সফরের। পাশাপাশি তাঁর কোচ এবং ফিজিয়োর জন্য খরচও রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বলতে গিয়ে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে সুমিত দাবি করেছেন, ‘আমি যদি আমার ব্যাঙ্ক ব্যালান্সের দিকে তাকাই তাহলে দেখব বছরের গোড়াতে আমার যা অবস্থা ছিল, সেই জায়গাতেই আমি ফের পৌঁছে গিয়েছি। এই মুহূর্তে আমার ব্যাঙ্ক ব্যালান্স ৯০ ইউরো (৮০ হাজার টাকার কাছাকাছি)। আমি মিস্টার প্রশান্ত সুতারের থেকে অনেকটাই সাহায্য পেয়েছি। মহা টেনিস ফাউন্ডেশনের সহায়তা পেতে উনি আমাকে সাহায্য করেছেন। আমি আইওসিএল থেকেও মাস মাহিনা পাই। তবে আমার একজন বড় স্পন্সরের বড় অভাব রয়েছে।’ চলতি বছরে ২৪ টি টু্র্নামেন্টে খেলেছেন সুমিত নাগাল। জিতেছেন ৬৫ লাখ টাকার পুরস্কার। ইউএস ওপেন থেকেই তিনি জিতেছেন ২২০০০ আমেরিকান ডলার (১৮ লাখ টাকা)।

নাগাল আরও বলেছেন, ‘আমি যা উপার্জন করছি, পুরোটাই আমার পিছনে আমি ইনভেস্ট করছি। বছরে এটিপি ট্যুর খেলতে যদি আমি একজন কোচকে (কোন ফিজিও ছাড়া) নিয়ে সফর করি, তাহলেও আমার ৮০ লাখ টাকা থেকে ১ কোটি টাকার কাছাকাছি খরচ। শেষ কয়েক বছর ভারতের সেরা খেলোয়াড় থাকার পরেও আমি যথাযোগ্য সাহায্যটা পাচ্ছি না।’



Source link

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*