‘বিশ্বকাপ দলে তামিমের না থাকাটা বাংলাদেশের জন্য বড় ধাক্কা’


ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বকাপ দলে তামিম ইকবালের না থাকাটা বাংলাদেশের জন্য বড় ধাক্কা। সেই সাথে লিটন দাসসহ অন্য ওপেনারদের অফ-ফর্ম বিশ্বকাপে টাইগারদের জন্য বড় দুশ্চিন্তার কারণ, এমনটা মনে করছেন দেশ বরেণ্য কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিম ও সাবেক ক্রিকেটার হাসানুজ্জামান ঝড়ু।

তাদের ধারণা, শামিম পাটোয়ারী ও আফিফ হোসেনদের ব্যর্থতার কারণেই বিশ্বকাপ দলে রিয়াদকে বাধ্য হয়ে ফিরিয়েছে বিসিবি।

তামিম ইকবাল বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে থাকছেন না, তা গত সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতের আগে কারও কল্পনায় থাকা ছিল বিস্ময়কর। কিন্তু হুট করে পাল্টে যায় দৃশ্যপট। ইনজুরি আর নানা নাটকীয়তায় শেষ পর্যন্ত তামিমকে ছাড়াই স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বিসিবি।

কেন দলে নেই তামিম? কারণটা যাই হোক না কেন, দেশের সবচেয়ে সফল এই ব্যাটারের অভাবটা ভোগাবে টাইগারদের, বলছেন কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিম।

তিনি বলেন, শেষ মুহূর্তে এসে তামিম ইকবালের না থাকাটা দলকে নিশ্চিতভাবে দুর্বল করেছে। বিশেষ করে উদ্বোধনী জায়গাটায় আমাদের দুর্বলতাটা বেশি। তাই ওপেনিংয়ে আমাদের দুর্বলতা আছে।

এদিকে সাবেক ক্রিকেটার হাসানুজ্জামান ঝড়ু বলছেন, তামিমের অভাবটা আরও প্রকট হবে; লিটন দাস, জুনিয়র তামিমরা অফ-ফর্ম কাটাতে না পারলে। তামিমের মতো সিনিয়র ক্রিকেটার যদি দলের সাথে ট্রাভেল করতো এবং চারটি বা পাঁচটি ম্যাচ খেলুক, সেটি দলের জন্য ভালো হতো। আমরা এখনও জানি না, লিটন-জুনিয়র তামিম অথবা শান্তরা শতভাগ ম্যাচ খেলতে পারবে কি না।

তামিম ইকবাল বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ না পড়লে নিশ্চিতভাবে এখন আলোচনার শীর্ষে থাকতো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের প্রত্যাবর্তন। হঠাৎ করে রিয়াদকে ফেরানোর সিদ্ধান্তটা পছন্দ হয়নি নাজমুল আবেদীন ফাহিমের। বললেন, মাহমুদউল্লাহর প্রত্যাবর্তনটা খুব প্রশ্নবোধক। কেননা, তাকে যদি নেয়াই হয় তাহলে এতগুলো সিরিজ খেললাম, তাকে সেই ম্যাচগুলোতে খেলার সুযোগ দেয়া হলো না কেন। তাকে প্রস্তুত হওয়ার সুযোগটা কিন্তু আমরা দেইনি। এটা খুব পরিকল্পনাহীনভাবে তাকে নেয়া হয়েছে।

তবে হাসানুজ্জামান ঝড়ুর মতে, আফিফ-শামীমরা ব্যর্থ হওয়ায় বাধ্য হয়ে রিয়াদকে দলে নিয়েছে বিসিবি। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে তারাই সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের লক্ষ্য, কঠোর পরিশ্রম, অভিজ্ঞতা এবং ম্যাচ ফিনিশিং করার যে প্রবণতা, তার জন্য দলে থাকাটা তার প্রাপ্য। এই জন্য প্রকৃতি তাকে জাতীয় দলে ফিরিয়ে এনেছে।

এই দুই জনের মতে, যে ১৫ জনের স্কোয়াড গঠন করেছে বিসিবি, এর সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গা বোলিং ডিপার্টমেন্ট। আর সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা টপ অর্ডার ব্যাটিং।

/আরআইএম/এমএন





Source link

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*