বিপদ বাড়ল রুবিয়ালেসের,চুমু কাণ্ডে এবার মামলা করলেন হেরামোসো!


শুভব্রত মুখার্জি: বিপদ যেন পিছু ছাড়ছে না লুই রুবিয়ালেসের! স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি লুই রুবিয়ালেসের জন্য যতদিন যাচ্ছে বিপদ যেন ততই বাড়ছে।একের পর এক সমস্যায় জড়িয়ে পড়ছেন তিনি। মহিলা বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনালে স্পেনের একের পর এক ফুটবলারকে পুরস্কার মঞ্চেই তিনি চুমু খেয়ে বসেন। আর সেই বিতর্কের ঝড় যেন থামছেই না। এবার সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করে বসলেন মহিলা ফুটবল দলের মিডফিল্ডার হেনি হেরামোসো!

স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি লুই রুবিয়ালেসের বিরুদ্ধে বিতর্কিত ‘চুমু-কান্ডে’র ঘটনায় মামলা করেছেন বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার হেনি হেরমোসো। তিনি যে বলপূর্বক তাঁর চোটে সভাপতি চুমু খাওয়াতে একেবারেই খুশি ছিলেন না তা তৎক্ষণাৎ স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন। আর এবার স্প্যানিশ অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসে উপস্থিত হয়ে এই মর্মে অভিযোগ করেছেন তিনি। স্পেনীয় আইনজ্ঞদের মতে এই অভিযোগের অর্থ ৪৬ বছর বয়সী রুবিয়ালেস ফৌজদারি মামলার ঝামেলাতে এবার ফাঁসতে পারেন। স্পেনের কৌঁসুলি অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কৌঁসুলিদের তরফে স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি লুই রুবিয়ালেসের বিপক্ষে খুব তাড়াতাড়ি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করবেন। মহিলা ফুটবল বিশ্বকাপ ফাইনালের অনুষ্ঠানমঞ্চে হেরমোসোর ঠোঁটে বলপূর্বকভাবে চুমু খেয়েছিলেন রুবিয়ালেস। মিডফিল্ডারের ঘাড় ধরে তাঁর ঠোঁটে একেবারে আবেগঘন চুমু খেতে গিয়ে তিনি ধরা পড়েন ক্যামেরাতে।

হেরামোসো এই ঘটনায় যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন কি না, তা নিয়ে ও গত ২৯ আগস্ট কৌঁসুলিরা প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছেন। কৌঁসুলি অফিসের এক মুখপাত্র সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, কারো অসম্মতিতে চুমু খাওয়া দন্ডনীয় অপরাধ। রুবিয়ালেসের এই অপরাধের কারণে তাঁর জরিমানা তো হতেই পারে। পাশাপাশি তাঁর ৪ বছরের জেল ও হতে পারে। উল্লেখ্য গত ২০ অগস্ট মহিলা বিশ্বকাপ জয়ের পর অনুষ্ঠানমঞ্চে স্পেনের মিডফিল্ডার হেরামোসো যখন পদক নিচ্ছিলেন তখন দেশের ফুটবল ফেডারেশনের প্রধান রুবিয়ালেসের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান তিনি। আর সেই সময়েই তাঁর ঘাড় ধরে তাঁর ঠোঁটে চুমু খেতে দেখা গিয়েছিল রুবিয়ালেসকে।

এই নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয় বিভিন্ন মহলে। ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে রুবিয়ালেস জানিয়েছিলেন চুমুর বিষয়টি ছিল পারস্পরিক, স্বতঃস্ফূর্ত এবং তাৎক্ষণিক উচ্ছ্বাসের বহিঃপ্রকাশ। তখন হেরমোসো বিষয়টি অস্বীকার করে জানিয়েছিলেন, ‘আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, লুই রুবিয়ালেস তাঁর বক্তব্যে যা যা দাবি করেছেন, বিশেষ করে সম্মতিসূচক চুমুর ব্যাপারটি—তাঁর সঙ্গে এমন কোনও কথাবার্তাই হয়নি। এগুলো মিথ্যা। নিজের সুবিধার জন্য কাউকে নিয়ন্ত্রণ করার যে সংস্কৃতি তিনি গড়ে তুলেছেন, সেটারই অংশ এই মিথ্যা দাবি ।’ রুবিয়ালেস অবশ্য বিষয়টি নিয়ে পরে ক্ষমা চেয়েছিলেন। তবে বরফ যে তাতে গলেনি তা ফের একবার স্পষ্ট হয়ে গেল।



Source link

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*