পাকিস্তান বা হরিয়ানার বিষয় নয়, পাক প্লেয়ারটি জিতলেও আনন্দ হত- সাম্যের কথা বলে সকলের মন জিতলেন নীরজ চোপড়ার মা – No question of Pakistan or Haryana, Even if Pakistani had won, there would’ve been great happiness


অলিম্পিক্স চ্যাম্পিয়ন তো ছিলেনই। এবার তাঁর মাথায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের মুকুটও উঠেছে। আর সেই ঐতিহাসিক খেতাবের পর স্বভাবতই আনন্দে ভাসছেন নীরজ চোপড়া। আর নীরজের এই আন্দদের ঢেউ যেন ঝাপটা দিচ্ছে গোটা দেশকেই। গর্বে ছাতি ফুলেছে ভারতেরও। 

রবিবার (স্থানীয় সময় অনুযায়ী) বুদাপেস্টে নীরজ ইতিহাস রচনা করেছেন ৮৮.১৭ মিটার জ্যাভলিন ছুড়ে। এর আগে ২০২১ সালে টোকিয়ো অলিম্পিক্সে নীরজ সোনা জিতেছিলেন ৮৭.৫৬ মিটার জ্যাভলিন ছুড়ে। কিংবদন্তি শুটার অভিনব বিন্দ্রার পরে নীরজই এক মাত্র ভারতীয় অ্যাথলিট, যাঁর ঝুলিতে রয়েছে অলিম্পিক্স এবং বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা। ছেলের সাফল্যে নীরজের মা যেন আবেগপ্রবণ।

তবে ফাইনালে কিছুটা যেন চাপেই ছিলেন নীরজ। ৮৮.১৭ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করে শীর্ষস্থান ধরে রাখলেও, তাঁকে চাপে রেখেছিলেন পাকিস্তানের আরশাদ নাদিম। শেষ থ্রো পর্যন্ত উদ্বেগ ছিল যে নীরজকে পেরিয়ে যাবেন না তো। তাছাড়া নীরজকে দেখেও মনে হচ্ছিল না যে, তিনি পুরোপুরি ছন্দে আছেন। তবে পাকিস্তানের আরশাদ নাদিমকে হারিয়েই সোনা জেতেন নীরজ। মাত্র এক মিটারের ব্যবধানে নাদিমকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম ভারতীয় হিসাবে সোনা এনেছেন নীরজ। অন্যদিকে নাদিম এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে প্রথম পাকিস্তানি খেলোয়াড় যিনি পদক পেলেন।

ছেলে পাকিস্তানের নাদিমকে হারিয়ে সোনা জিতেছেন, কতটা গর্বের বিষয়? তবে জবাবে নীরজের মা যা বললেন, তাতে ঐক্যের বাণীর মতোই শোনাল তাঁর কথা। দেশ-জাতি-ধর্ম-রাজনৈতিক ঝামেলা- সব কিছুরই উর্ধ্বে রয়েছে খেলা, সেটাই মনে করিয়ে দিলেন নীরজের মা সজোর দেবী। বললেন, ‘দেখো, সকলেই মাঠে খেলতে নামে। একজন জিতবে, অন্য জন হারবে। তাই এখানে পাকিস্তান বা হরিয়ানা- এই নিয়ে কোনও প্রশ্নই উঠতে পারে না। আসল বিষয় হল আনন্দ পাওয়া। যদি সেখানে পাকিস্তানের ছেলেটিও জিতত, তবে সেখানেও আনন্দই হত।’ 

 



Source link

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*