
সকালে বেলা হাল্কা করে রেডিও চালিয়ে ধোঁয়া ওঠা গরম চায়ের কাপে চুমুক। চেয়ারে হেলান দিয়ে সকালের খবরের কাগজে চোখ। পরনে সাদা ধুতি আর পাঞ্জাবি। চোকে চশমা। একেবারে খাঁটি বাঙালি বাড়ির কর্তা। কে বলবেন তিনি ইস্টবেঙ্গলের জাঁদরেল কোচ। বাজার থেকে ইলিশ আসতেই চোখে-মুখি হাসি ফুটে উঠল। ইলিশ ভাঁপার সঙ্গে দুপুর ধোঁয়া ওঠা ভাত! বাঙালির কাছে এ যে স্বর্গ। কিন্তু স্প্যানিশ কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত কী ভাবে এমন বাঙালি বাবুটি হয়ে উঠলেন!
আসলে এটি ইস্টবেঙ্গলের আইএসএলের জার্সি উন্মোচনে চমক। কোনও সাংবাদিক বৈঠক করে নয়, একেবারে নতুন কায়দায় ভিডিয়ো বানিয়ে আইএসএলের অ্যাওয়ে জার্সির উন্মোচন করল ইস্টবেঙ্গল। এর আগে ক্লেটন সিলভার হাত দিয়ে সামনে আনা হয়েছিল লাল-হলুদের হোম জার্সি। ক্লাবের মাঠে মশাল জ্বেলে সমর্থকদের সঙ্গে জার্সিটি সামনে আনা হয়েছিল। এবার সকলকে চমকে দিয়েই কুয়াদ্রাতকে বাঙালিবাবু সাজিয়ে অ্যাওয়ে জার্সির উন্মোচন করল ইস্টবেঙ্গল। ।
১৭ সেপ্টেম্বর ইস্টবেঙ্গলের ফেসবুক পেজ থেকে একটি ভিডিয়ো আপলোড করা হয়েছে। যেখানে দেখা গিয়েছে সাদা ধুতি-পাঞ্জাবী পরে খবরের কাগজ পড়ছেন কুয়াদ্রাত। পাশে রাখা বাঙালির আবেগের রেডিও। চ্যানেলটা বদলে কুয়াদ্রাত চালিয়ে দিলেন আকাশ ভরা সূর্য তারা গানটি। এর পর গরম চায়ে চুমুক। পারফেক্ট বাঙালি বাড়ির সকাল বেলা। পাশ থেকে আবার একজন কুয়াদ্রাতের কাছে এসে বললেন, ‘ভাই, আজ জমিয়ে ইলিশ ভাপা খাওয়া হবে। আর তোর জন্য আরও কিছু এনেছি।’
এরপর সেই ভিডিয়োতে দেখা যায়, ধুতি ও লাল হলুদের নতুন জার্সি পরে কার্লেস কুয়াদ্রাত বল নিয়ে জাগলিং করছেন। লাল-হলুদের অ্যাওয়ে জার্সি সাদাই হয়। এবারও আলাদা নয়। সঙ্গে রয়েছে লাল এবং হলুদ রংয়ের স্ট্রাইপ। বুকে ও পিঠে স্পনসরের লোগো আর বাম হাতে জ্বলজ্বল করছে আইএসএলের লোগো। ভিডিয়োর ক্য়াপশনে লেখা, ‘পুরো একমাস দূরে, আর পুরো মানেই নতুন জামা।’
এই ভিডিয়োর পুরো শ্যুটিংটা হয়েছে লাল হলুদের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বানওয়ারিলাল রায়ের বাড়িতে। ঐতিহ্যশালী বাড়িতে উদ্বোধন হল লাল হলুদের নতুন অ্য়াওয়ে জার্সির। জার্সি উদ্বোধনেই নতুনত্বের ছোঁয়া। বাকিদের থেকে একেবারে আলাদা রাস্তায় হেঁটে ইস্টবেঙ্গল তাদের অ্য়াওয়ে জার্সি সামনে আনল। এবার আইএসএলেও কি একই চমক দেখা যাবে? কলকাতা লিগে ইস্টবেঙ্গল ভালো ছন্দে রয়েছে। এবার আইএসএলে কী চমক তারা দেখায়, তারই অপেক্ষায় লাল-হলুদ সমর্থকেরা!
Leave a Reply