টাইগারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২৫৪ রানে গুটিয়ে গেলো নিউজিল্যান্ড


ছবি: সংগৃহীত

তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করতে নেমে ৩৬ রানের মধ্যে ৩ ব্যাটারকে হারিয়ে ধুঁকতে ছিল কিউইরা। তবে হেনরি নিকোলস ও টম ব্লান্ডেল মিলে সেই বিপর্যয় সামাল দেন। শেষদিকে ইস সোধির ক্যামিও ইনিংসের উপর ভর করে সবক’টি উইকেট হারিয়ে ২৫৪ রানের পুঁজি পায় সফরকারীরা।

মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নিউজিল্যান্ড দলের অধিনায়ক লকি ফার্গুসন। শুরু থেকেই কিউই ওপেনারদের চেপে ধরেন মোস্তাফিজুর রহমান এবং হাসান মাহমুদ। তৃতীয় ওভারে প্রথম উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। মোস্তাফিজের বাউন্স করা বলটি কাট করতে গিয়ে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের হাতে ধরা পড়েন উইল ইয়াং। আট বল খেললেও রানের খাতা খোলার আগে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।

মোস্তাফিজ এবং হাসানদের গোছানো বোলিংয়ের পরও রান তুলতে তাকে কিউইরা। ইনিংসের সপ্তম ওভারে নিজের দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পান কাটার মাস্টার। অফসাইডের বাইরে করা মোস্তাফিজের বল ফ সাইডে খেলতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় প্রথম স্লিপে। সেখানে লাফিয়ে উঠে ক্যাচটি দুর্দান্তভাবে লুফে নেন সৌম্য সরকার। ১৫ বলে ১২ রান করে সাজঘরে ফেরেন অ্যালেন।

অষ্টম ওভারে বল হাতে আসেন আজকের ম্যাচে অভিষেক হওয়া খালেদ আহমেদ। অভিষেক ওয়ানডে ম্যাচের প্রথম ওভারেই উইকেট তুলে নেন তিনি। তিন নম্বরে নামা কিউই ব্যাটার চ্যাড বোয়েসকে ফেরান খালেদ। পুল শট খেলতে গিয়ে স্কয়ার লেগে তার ক্যাচটি লুফে নেন তাওহিদ হৃদয়। ফেরার আগে ১৯ বলে ১৪ রান করেন বোয়েস। ৩৬ রানে টপ অর্ডারের ৩ ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পড়ে কিউইরা।

এরপর হেনরি নিকোলস ও টম ব্লান্ডেল ক্রিজে ধীরে ধীরে থিতু হতে থাকেন। নিকোলসের থেকে ব্লান্ডেল বেশি মারমুখী হয়ে খেলতে থাকেন। ৫টি চারের সাহায্যে ৫৪ বলে নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২য় ফিফটি তুলে নেন ব্লান্ডেল। অন্যদিকে, ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৪তম ফিফটি থেকে মাত্র ১ রান দূরে থেকে সাজঘরে ফেরেন নিকোলস। খালেদ আহমেদের করা গুড লেন্থের বল খানিকটা লাফিয়ে উঠে নিকোলসের ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় উইকেটরক্ষক লিটন দাসের গ্লাভসে। ৬টি চারের সাহায্যে ৬১ বলে ৪৯ রান করে ফেরেন নিকোলস।

নতুন ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে আসা রাচিন রবীন্দ্রকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি শেখ মেহেদী। এই টাইগার স্পিনারের মিডল স্টাম্প বরাবর করা বলে এলবিওডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি। ফলে ১০ রান করেই ফিরতে হয় এই কিউই ব্যাটারকে। এক পাশ আগলে থাকা ব্লান্ডেলকে দারুণ এক ইয়র্কারে বোল্ড করেন হাসান মাহমুদ। তাতে শেষ হয় ব্লান্ডেলের ৬৮ রানের ইনিংস।

থিতু হয়ে ২০ রান করে ফেলা কোল ম্যাককনিকে ফেরান নাসুম। এরপর ২০ রানে থাকা কাইল জেমিসনকে নিজের বলে ফিরতি ক্যাচ নিয়ে ফেরান মেহেদী হাসান। মেহেদীর তৃতীয় শিকার হন অধিনায়ক লকি ফার্গুসন। ক্রিজ থেকে বেরিয়ে বড় শট খেলতে গিয়ে বলের লাইন মিস করলে স্ট্যাম্পিং হন লকি। শেষের দিকে ইশ সোধিকে মানকাডিং করেছিলেন হাসান। তবে সোধি ড্রেসিংরুমে ফিরে যাওয়ার আগেই তাকে ডেকে আনেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক লিটন দাস। শেষ ওভারে খালেদের বলে আউট হওয়ার আগে ৩৯ বলে ৩ ছক্কায় ৩৫ রান করেন সোধি।

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট পান শেখ মেহেদি হাসান ও খালেদ আহমেদ। এছাড়াও ২টি উইকেট পান মোস্তাফিজুর রহমান এবং ১টি করে উইকেট নেন নাসুম আহমেদ ও হাসান মাহমুদ। জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৫৫ রান।

/আরআইএম





Source link

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*