গিল পাকিস্তানের পেস বোলারদের নিয়ে গর্বিত বাবর; ওপেনারদের শুরুটা ভালো করতে হবে: গিল


ছবি: সংগৃহীত

এশিয়া কাপে আরও একবার ভারত-পাকিস্তান মহারণ। সুপার ফোরের ম্যাচে মাঠে নামার অপেক্ষায় দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) কলম্বোর প্রেমাদাসা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে তিনটায়।

গ্রুপ পর্বের প্রথম দেখায় পাকিস্তানি পেসাররা দাপট দেখিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার মাটিতেও। বৃষ্টির বাগড়ায় ক্যান্ডি ম্যাচ মাঠে নামা হয়নি পাকিস্তানি ব্যাটারদের। তবে এবার ম্যাচের দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও, ম্যাচের আগেরদিন কলম্বোয় কড়া রোদ। আর তাই আত্মবিশ্বাসে ফুটছে পাকিস্তান।

ম্যাচের আগেরদিন সংবাদ সম্মেলনে এসে পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম বলেন, যেভাবে রোদ উঠেছে মনে হচ্ছে না বৃষ্টি হবে। প্রকৃতির উপরতো হাত নেই। যা হাতে আছে তা হলো ভালো করে প্রস্তুতি নেয়া, ভালো খেলা। আমরা সেটাই করছি। দলের প্রত্যকেই আত্নবিশ্বাসী। আমরা খুবই গর্বিত আমাদের সেরা পেস ডিপার্টমেন্ট আছে। পেইসাররাই বড় টুর্নামেন্ট জেতায়।

ক্যান্ডিতে প্রথম ম্যাচে টিম ইন্ডিয়ার দুই ওপেনার শুভমান গিল ও রোহিত শর্মা ছাড়াও ব্যর্থ হন ভিরাট কোহলি। ভারতের টপ অর্ডার থেকে শুরু করে লোয়ার অর্ডার, সবার যম হয়েছিলেন তিন পাক পেসার শাহীন-রউফ আর নাসিম শাহ। এই ম্যাচে দিয়ে প্রায় ৬মাস পর ফিরতে পারেন লোকেশ রাহুল। তবে ওপেনার শুভমান বলছেন পাকিস্তানকে ঘিরে নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা।

শুভমান গিল বলেন, যখনই আমরা নতুন বোলারকে মোকাবিলা করি, তখনই তারা পার্থক্য গড়ে দেয়। আমরা পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলি না, তাদের বোলারদের খেলতে আমরা অভ্যস্ত নই। শাহিনের (আফ্রিদি) অনেক সুইং আছে, নাসিমের আছে পেস আর মুভমেন্ট এবং তারা উইকেট থেকেও সুবিধা আদায় করে নেয়। ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনে তারা নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়। ওপেনারদের শুরুটা ভালো করতে হবে, শুরু থেকেই আধিপত্য করতে হবে।

ওয়ানডেতে ১৩৩ বারের দেখায় ৭৩ ম্যাচ জিতে এগিয়ে পাকিস্তান, ভারতের জয় ৫৫টিতে। কলম্বোর প্রেমাদাসায় ১৫৫ ম্যাচের মধ্যে ৮৪টি ম্যাচই জিতেছে আগে ব্যাট করা দল। অন্যদিকে, পরে ব্যাটিং করা দল জিতেছে ৬১টি ম্যাচ।

এখানে ভারতীয় দলের সুখস্মৃতি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৭৫ রানের ইনিংস। যা এই মাঠে ওয়ানডের সেরা স্কোর। প্রেমদাসায় ৪৬ ওয়ানডেতে ভারতের জয় আছে ২৩টিতেইয়ে

পাকিস্তান ২৩ ম্যাচ খেলে জিতেছে ১৩টিতে। কলম্বোর ভারত পাকিস্তান মহারণ হয়েছিল সেই ২০০৪ সালের এশিয়া কাপে একবারই। যেখানে পাকিস্তানের দেয়া ৩০১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ৫৯ রানে ম্যাচ হারে ভারত।

/আরআইএম





Source link

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*