কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামেই হবে লা লিগার অ্যাকাডেমি, বার্সেলোনা থেকে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর


বাংলার ফুটবলের উন্নতিতে এবার তৎপর হয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বাংলার ফুটবলের উন্নতির স্বার্থে অনেক পদক্ষের করেছেন। এবার তো লা লিগার অ্যাকাডেমী করার ব্যবস্থা করে ফেলেছেন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন ১১ দিনের স্পেন সফরে রয়েছেন। মূলত বাংলায় লগ্নি জন্য টানতেই তাঁর এই সফর। তবে শিল্পের পাশাপাশি খেলাধুলার উন্নতিটাও যে দরকার, সেটা মুখ্যমন্ত্রী বরাবর মেনে আসছেন। আর তাই বাংলার ফুটবলের উন্নতির জন্য তিনি একটি বিশাল পদক্ষেপ করলেন। জানেন সেটা কী?

ইতিমধ্যেই লা লিগা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে ফেলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেই চুক্তি অনুযায়ী এবার বাংলায় অ্যাকাডেমি গড়তে চলেছে লা লিগা কর্তৃপক্ষ। আর সেই অ্যাকাডেমি কোথায় গড়া হবে, সেটাও ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: ধুতি পরে, রেডিও চালিয়ে খবরের কাগজ হাতে চায়ে চুমুক, ইলিশ দেখেই হাসি হল চওড়া, কী করে ভোল এতটা বদলালেন কুয়াদ্রাত?- ভিডিয়ো

মাদ্রিদ সফর শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গিয়েছিলেন আর এক প্রসিদ্ধ ফুটবল শহর বার্সেলোনায়। সেখানেই সকলের উদ্দেশে তিনি জানিয়ে দেন যে, লা লিগার অ্যাকাডেমি গড়ার জন্য কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামই কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিতে চলেছেন তিনি।

মমতা বলেন, ‘বিশ্বের সেরা সংগঠন এবং জনপ্রিয়তম লিগ লা লিগার সঙ্গে দিনকয়েক আগেই আমরা চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। ওদের পেশাদারিত্ব নিয়ে কোনও প্রশ্ন থাকতে পারে না। লা লিগা কর্তৃপক্ষ বাংলায় অ্যাকাডেমি গড়তে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। দুই দিন আগেই এই বিষয়ে আমাদের মধ্যে কথা হয়েছিল। ওরা জমি পেলেই কলকাতায় অ্যাকাডেমি গড়ার কাজ শুরু করে দেবে বলেই জানিয়েছিল।’

আরও পড়ুন: সুপার সিক্সের লড়াইটা কতটা কঠিন হয়ে গেল, কিবুর দলের কাছে হেরে উপলব্ধি মোহনবাগান কোচের

সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘আমি এখান থেকেই ঘোষণা করছি, যে ওদের অ্যাকাডেমি গড়ার জন্য সমস্ত সুযোগ সুবিধাসহ বাংলার একটা গোটা স্টেডিয়াম দেব আমরা। আমার বন্ধুদের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিন। যত শীঘ্র সম্ভব কলকাতায় এসে অ্যাকাডেমি গড়ার কাজ শুরু করে দিন। কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামটা আমি এর জন্য দিয়ে দিচ্ছি।’

কেন কিশোর ভারতীকেই এর জন্য বেছে নিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী? তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ‘কিশোর ভারতী স্টেডিয়াম তো ইতিমধ্যেই পরিকাঠামোগত ভাবে যথেষ্ট উন্নত। এই গোটা প্রক্রিয়ায় আমি খুবই খুশি। গোড়া থেকে শিশুদের প্রতিভা চিনতে পারলে, সঠিক প্রশিক্ষণ দিতে পারলে আরও একজন রোনাল্ডো, আরও একজন মেসি তৈরি হতেই পারে। ফুটবল আমাদের রক্তে রয়েছে। দেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী বাংলা। ফুটবলের রাজধানীও আমাদের বাংলাই।’



Source link

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*