কারও পা চাটতে ভারতে আসিনি- ক্লাব বনাম দেশ যুদ্ধে বোমা ফাটালেন স্টিম্যাচ – didn’t come to India to lick a**es


সামনেই এশিয়ান গেমস, ওয়ার্ল্ড কাপের কোয়ালিফায়ার এবং এশিয়ান কাপ। একের পর এক মেগা টুর্নামেন্ট রয়েছে। অথচ তার আগে জাতীয় দলের শিবিরের জন্য ফুটবলার ছাড়তে অনিচ্ছুক অধিকাংশ আইএসএল ফ্র্যাঞ্চাইজিই। এমন পরিস্থিতিতে সুনীল ছেত্রীদের কোচ ইগর স্টিম্যাচ এবার বোমা ফাটালেনষ পরিষ্কার বলে দিলেন, ‘কারও পা চাটতে ভারতে আসিনি, সত্যি বলতে ভয় পাই না।’

দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ক্রোয়েশিয়ার প্রাক্তন ডিফেন্ডার এবং বর্তমান ভারতের ফুটবল টিমের কোচ। তিনি বলেছেন, ‘কারও পা চাটতে ভারতে আসিনি। সত্যি কথা বলতে ভয় পাই না। আমার ভাষা প্রয়োগের জন্য মার্জনা করবেন। তবে আমি সত্যি ভারতে কারও পা চাটতে আসিনি। যদি ভারত আমার সাহায্য চায়, তাহলে সত্যি বলতে আমি দ্বিধাবোধ করব না। ওরা এই সমস্যা কাটানোর উদ্যোগ নিয়ে আমাকে সাহায্য করতে পারে। অথবা আমাকে বলতে পারে, আমরা কোনও পরিবর্তন করতে পারব না, তুমি বাড়ি যাও। আমি আনন্দের সাথে বাড়ি ফিরে যাব এবং আমরা বন্ধুই থাকব।’

তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘ভারতে বিশ্বের সেরা মস্তিষ্করা রয়েছে। এখন আমাকে বলা হচ্ছে, ক্যালেন্ডারে সামান্য রদবদল ঘটিয়ে জাতীয় দলের জন্য প্রয়োজনীয় সময় নিশ্চিত করতে ব্যর্থ। নাকি অন্য কিছু স্বার্থ আছে? এটা বলতে আমার কোনও সমস্যা নেই, কারণ এটাই সত্যি। যে আমাকে ভুল প্রমাণ করতে চায়, আমার সঙ্গে প্রকাশ্যে বিতর্ক করতে পারে এবং বলতে পারে মূল সমস্যা কী?’

ভারতীয় দলের জন্য প্লেয়ার ছাড়া নিয়েই চলছে বিতর্ক। এই নিয়ে শীর্ষ-স্তরের ক্লাব এবং জাতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের মধ্যে প্রবল বিবাদের মাঝেই স্টিম্যাচের মন্তব্য চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

আগামী সপ্তাহ থেকেই ভারতের জাতীয় দলের ঠাঁসা ক্রীড়াসূচি। থাইল্যাণ্ডে কিংস কাপে খেলতে হবে জাতীয় দলকে। তার পর এশিয়ার অনূর্ধ্ব-২৩ কোয়ালিফায়ার খেলতে হবে চিনে। এছাড়াও ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে এশিয়ান গেমস খেলতে নামবে টিম ইন্ডিয়া। অক্টোবরে মালয়েশিয়ার মেরডেকা কাপ, ২০২৬ বিশ্বকাপ এবং এশিয়ান গেমসের যুগ্ম কোয়ালিফায়ার ম্যাচও খেলবে ভারত।

কিন্তু তার আগে এত বাধা যে, আর চুপ করে থাকতে পারেননি স্টিম্যাচ। ভারতের যুব দলের প্রস্তুতি ক্যাম্প শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে অর্ধেকের বেশি প্লেয়ার এখন শিবিরে যোগ দেননি। যুব দলের কোচ ক্লিফোর্ড মিরান্ডা জানিয়েছেন, ২৫ জনের ক্যাম্পে মাত্র ১২ জন যোগ দিয়েছেন। ইস্টবেঙ্গল, কেরালা ব্লাস্টার্স, মুম্বই সিটি, জামশেদপুর এফসি, ওড়িশা এফসি, পঞ্জাব এফসি এখনও ফুটবলারদের পাঠায়নি। এমনিতেই ক্লাবের আপত্তিতে এক দফায় ক্যাম্প পিছিয়ে গিয়েছে। তার পরে এখনও সেই পরিস্থিতির সুরাহা হয়নি।

এদিকে ক্লাবগুলির যুক্তি, ফিফা ক্যালেন্ডারে বাইরে জাতীয় দলের ক্যাম্প আয়োজিত হচ্ছে। তাই তারা খেলোয়াড়দের ছাড়তে বাধ্য নয়। স্টিম্যাচ এই মুহুর্তে ক্রোয়েশিয়ায় আছেন। এবং ২ সেপ্টেম্বর কিংস কাপের জন্য থাইল্যান্ডে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। তবে তিনি আশঙ্কা করছেন যে, এশিয়ান গেমস এবং পরে এশিয়ান কাপের জন্য একই রকম পরিস্থিতি তৈরি হবে।

স্টিম্যাচ বলেছেন, ‘বড় সমস্যার মুখে পড়তে চলেছি আমরা। কাউকে দোষারোপ করছি না। তবে ফেডারেশনে এর জন্য আমরা দায়ী নই। করোনা অতিমারীর জন্য এশিয়ান গেমস এবং এশিয়ান কাপ স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। এখন কোনও রকম আলোচনা ছাড়াই হঠাৎ ক্যালেন্ডারের মাঝামাঝি এই টুর্নামেন্ট ফেলা হয়েছে। তাই অধিকাংশ দেশেই কোচ, ক্লাবের সঙ্গে এই সমস্যা রয়ে গিয়েছে। তবে আমার ধারণা, অধিকাংশ দেশেই ক্লাব, জাতীয় দল নিয়ে একটা সমাধানসূত্র বের করা গিয়েছে। আর আমরা এখনও বলে চলেছি, এটা করতে পারব না।’



Source link

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*