এমবাপের জোড়া গোলে PSG-র জয়, MLS-র অভিষেকে মেসির দারুণ গোলে জিতল মায়ামি


কিলিয়ান এমবাপেকে কি বদলি হিসাবে খেলানো ঠিক? কোচ লুইস এনরিকে বোধহয় বুঝতে পেরেছেন সেটা কখনই ঠিক নয়। এমবাপের মতো খেলোয়াড়দের বদলি হিসেবে খেলানোটা সঠিক সিদ্ধান্ত নয় সেটা ভেবেই বোধ হয় আর ভুল করেননি পিএসজি কোচ। সেই কারণেই পার্ক দে প্রিন্সেসে লাসের বিরুদ্ধে ম্যাচে প্রথম থেকেই এমবাপেকে মাঠে দেখা গিয়েছিল। ফরাসি ফরোয়ার্ডও নিজের কোচকে হতাশ করেননি। জোড়া গোল করেছেন। দারুণ খেলেছেন। এই ম্যাচে পিএসজি এগিয়ে গিয়েছিল এমবাপের দুই গোলের জন্যই। শেষ পর্যন্ত লাসের বিরুদ্ধে লুইস এনরিকের দল জিতেছে ৩-১ গোলে।

পিএসজির প্রথম গোলটা এসেছে প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহূর্তে। ওয়ারেন জায়ের-এমেরির পাস থেকে দারুণ এক শটে স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড মার্কো আসেনসিও। এর আগে অবশ্য এমবাপে দুটি সুযোগ নষ্ট করেছেন। একবার একেবারে গোলমুখের সামনে থেকে বল ফিরিয়ে দেন লাস ডিফেন্ডার কেভিন ডানসো। আরেকবার লাসকে বাঁচান গোলরক্ষক ব্রিস সাম্বা। ম্যাচের ৫২ মিনিটে লুকাস এরনান্দেজের সঙ্গে দারুণ ওয়ান-টু খেলে প্রায় ১০ গজ দূর বুলেটগতির শটে ব্যবধান বাড়ান এমবাপে। পিএসজির হয়ে ফরাসি লিগ আঁ-তে যেটি এমবাপের ১৫০তম গোল। পরে অবশ্য ১৫১ নম্বর গোলটিও পেয়েছেন ফরাসি ফরোয়ার্ড। তবে সেটা ম্যাচের যোগ হওয়া সময়ের শুরুতে। ম্যাচে এমবাপের ওই দ্বিতীয় গোলের পর সকলেই চেনা এমবাপেকে ফিরে পেয়ে দারুণ খুশি ছিল।

এদিকে অভিষেকের পর থেকে ইন্টার মায়ামির জার্সিতে টানা ৮ ম্যাচ খেলেছেন লিওনেল মেসি। দলকে একটি শিরোপা এনে দেওয়ার পাশাপাশি অন্য একটির ফাইনালেও তুলেছেন আর্জেন্তাইন মহাতারকা। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৮ ম্যাচে তিনি মাঠে ছিলেন ৭১৪ মিনিট। টানা ম্যাচ খেলে ক্লান্ত মেসিকে তাই মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়ার গুঞ্জন ছিল। ইঙ্গিতটা দিয়েছিলেন খোদ ইন্টার মায়ামি কোচ জেরার্দো মার্তিনোই। ম্যাচের আগে বলেছিলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি সকলেই মেসির খেলা দেখতে চায়। কিন্তু ভুল কাজ করে আমি ঝুঁকি নিতে চাই না।’ মেসিকে শুরু থেকে খেলানোর ঝুঁকি না নিলেও স্কোয়াডের বাইরে রাখার ঝুঁকিও নিতে পারেননি মায়ামি কোচ। মেসিকে বেঞ্চে রেখে একাদশ সাজান মার্তিনো। তাতে অবশ্য কোনও ক্ষতি হয়নি। বেঞ্চ থেকে মাঠে নেমে এমএলএস অভিষেকে ঠিকই জাদু দেখান মেসি। নিউইয়র্ক রেড বুলসের বিরুদ্ধে ইন্টার মায়ামির ২-০ ব্যবধানের জয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন মেসি। অন্য গোলটি করেছেন ডিয়েগো গোমেজ। এ নিয়ে মায়ামির জার্সিতে ৯ ম্যাচে মেসির গোল সংখ্যা এখন ১১টি।

নিউইয়র্কের মাঠে মেসিবিহীন ইন্টার মায়ামির শুরুটা ভালো ছিল না। বলের দখলে এগিয়ে থাকলেও সুযোগ তৈরি করতে ব্যর্থ হচ্ছিল তারা। ম্যাচের প্রথম ৩০ মিনিটে লক্ষ্য দূরে থাক, কোনো শটই নিতে পারেনি মায়ামি। এ সময় বল দখলে পিছিয়ে থাকলেও সুযোগ তৈরিতে ইন্টার মায়ামির চেয়ে নিউইয়র্কই বরং বেশি এগিয়ে ছিল। তারাও অবশ্য সে সব সুযোগকে পরিণতি দিতে পারেনি। অন্য দিকে আধা ঘণ্টা পেরোনোর পর ধীরে ধীরে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে নিজেদের মেলে ধরতে শুরু করে ইন্টার মায়ামি।

মেসি নামার পর ম্যাচের গতি ও দৃশ্যপটে পরিবর্তন আসে। আক্রমণের নিয়ন্ত্রণটা চলে আসে ইন্টার মায়ামির হাতে। মাঠে নেমে দারুণ কিছু সুযোগ তৈরি করেন মেসি। যদিও সেগুলো পরিণতি পাচ্ছিল না। ৮৭ মিনিটে ডি-বক্সের ঠিক বাইরে বিপজ্জনক জায়গায় ফ্রি কিক আদায় করে নেন মেসি। যদিও মেসির ফ্রি কিক প্রতিপক্ষের রক্ষণ দেয়ালে বাধা পেয়ে ফিরে আসে। তবে ফ্রি কিক থেকে গোল করতে না পারলেও গোলটা ঠিকই পেয়ে যান মেসি। ৮৯ মিনিটে ডি-বক্সের ভেতর প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বল বাড়ান বেঞ্জামিন ক্রিমাশ্চিকে। পরে ফিরতি বল টোকা দিয়ে জালে জড়িয়ে দলকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন মেসি। শেষ পর্যন্ত দুই গোলের দারুণ এক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মায়ামি।



Source link

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*