আইপিএলের নয়া মূল্যায়ন, বাজারদর ছয় শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে হল ৯২,৫০০ কোটি- রিপোর্ট – IPL valuation jumps 6% more to INR 92500 crores


শুভব্রত মুখার্জি: ভারতীয় ক্রিকেট তথা বিশ্ব ক্রিকেটের মানচিত্রটাই বদলে দিয়েছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগ। ২০০৮ সালে ললিত মোদীর মস্তিষ্কপ্রসূত এই প্রোডাক্ট এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। আইপিএলের ইতিমধ্যেই ১৬টি মরশুম খেলা হয়ে গিয়েছে। প্রতিটি মরশুমেই ধারে ভারে বড় হয়েছে এই আইপিএল। প্রতি বছর আইপিএল আয়োজন করে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড অর্থাৎ বিসিসিআই। বিশ্বের সব থেকে ধনী ক্রিকেট বোর্ড এই টুর্নামেন্টের হাত ধরে আরও ধনী হয়েছে। সেই আইপিএলের নব মূল্যায়ন করা হয়েছে সম্প্রতি। আর তাতেই নাকি তার বাজারদর বেড়ে গিয়েছে আরও ছয় শতাংশ! ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৯২,৫০০ কোটি টাকা! সম্প্রতি আইপিএল নিয়ে একটি স্টাডি করা হয়। আর তাতেই এই তথ্য উঠে এসেছে। যা নিঃসন্দেহে হাসি ফোটাতে বাধ্য ভারতীয় বোর্ডের কর্তা থেকে ক্রিকেট সমর্থক- সকলের মুখে।

আরও পড়ুন: সূর্যের প্রতিভা দেখে ভেবেচিন্তেই বিশ্বকাপ দলে নেওয়া হয়েছে, নিন্দুকদের কড়া জবাব দ্রাবিড়ের

সারা বিশ্বে যত স্পোর্টিং ইভেন্ট হয় তাদের মধ্যে ডিজিটাল সত্ত্ব বিক্রির দিক থেকেও উপরের দিকেই থাকবে আইপিএল। জনপ্রিয়তার দিক থেকে ক্রিকেটে বিশ্বকাপকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে এই ইভেন্ট। দুই মরশুম আগেই এই টুর্নামেন্টে যুক্ত হয়েছে নয়া দুই ফ্র্যাঞ্চাইজি। যুক্ত হয়েছে লখনউ সুপার জায়ান্টস‌‌‌ এবং গুজরাট টাইটান্স। গুজরাট আবার তাদের প্রথম মরশুমেই আইপিএলের শিরোপা জিতে নেয়। তাদের দ্বিতীয় মরশুমেও গুজরাট ফাইনালে ওঠে। তবে তারা দ্বিতীয় বার শিরোপা জিততে পারেনি। লখনউ ফ্র্যাঞ্চাইজিকে ৭০৯০ কোটি টাকা খরচ করে কিনে নেয় আরপিএসজি গ্রুপ। অন্যদিকে গুজরাট দলকে কেনা হয় ৫৬২৫ কোটি টাকা খরচ করে।

আরও পড়ুন: পাকিস্তান পুরো ঘেঁটে আছে, ভারত একেবারে তৈরি, সোজাসাপ্টা ইংলিশ প্রাক্তনী

ডাফ এবং ফেল্পস আ্যাডভাইসারি নামক একটি সংস্থা ২০২৩ সালে আইপিএলের বর্তমান বাজারদর নিয়ে সমীক্ষা চালায়। যেখানে উঠে এসেছে এই তথ্য। পাশাপাশি এটাও জানা গিয়েছে, দুই নয়া ফ্র্যাঞ্চাইজিও নাকি তাদের যে টাকা বিনিয়োগ করেছিল, তা তারা এই দুই বছরেই প্রায় তুলে ফেলতে সমর্থ হয়েছে। গত বছরের সংস্করণ থেকে এই মরশুমের সংস্করণের বাজারদর বৃদ্ধি পেয়েছে ৬.৩ শতাংশ। গত বছর ৮৭০০০ হাজার কোটি টাকা ছিল বাজারদর, সেখান থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯২৫০০ কোটি টাকা। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ফ্র্যাঞ্চাইজির এই মুহূর্তে বাজারদর ৪১০-৪৫০ মিলিয়ন ইউএস ডলার, যা ভারতীয় মুদ্রায় ৩৪১১-৩৭৪৩ কোটি টাকা। বাজারদরের নিরিখে এর পরেই রয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর দল।



Source link

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*